ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই, করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েনি জয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
  • ১৫৭ বার

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশ এগিয়ে যাবে। বিদেশি কারো সহায়তা নয়, নিজস্ব চেষ্টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই, করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েনি। বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) জয় বাংলা ইয়্যুথ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার বিতরণীর এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে জয় এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আমরা সমাধান করতে চাই। যারা সমাধান করতে চায়, আমরা তাদের সাথে আছি। এটা নেই, ওটা নেই বলে নালিশ শুনতে শুনতে কান ব্যথা হয়ে গেছে। যারা নেতৃত্ব দিতে চায়, আমরা তাদের সাথে আছি।

জয় আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে মার্চ থেকে আমি দেশে আসতে পারছি না। এখন আমরা ভার্চুয়ালি রাষ্ট্র পরিচালনা করছি।’

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, দেশের মানুষই নিশ্চিত করবে কে আগামী দিনের নেতৃত্বে থাকবে। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের জন্য সংগ্রাম করেছেন। আমাদের রাষ্ট্রের তিনটি মূলনীতি সবাইকে ধরে রাখতে হবে। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, নাস্তিক সবার অধিকার আছে।

দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ট্রাস্টি নসরুল হামিদ।

সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তরুণদের সংগঠন ইয়াং বাংলা ২০১৪ সালে আত্মপ্রকাশের পর মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্লোগান ‘জয় বাংলা’র নামে চালু করে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। দেশ গঠনে ও নিজ সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া তরুণদের কাজের স্বীকৃতি দিতে চালু করা হয় এই অ্যাওয়ার্ডের।

২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইয়াং বাংলা তরুণদের ১৩০ সংগঠনকে নিজ সমাজের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রদান করেছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। তাদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন থেকে তাদের কাজের জন্য অর্জন করেছে পুরস্কার।

এবারো জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে আবেদন করে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের ৬০০ সংগঠন। নারী ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন, দরিদ্রদের উন্নয়ন, মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখা, পরিবেশ সুরক্ষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনসহ আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই সংগঠনগুলো থেকে বাছাই করে ৫০ সংগঠনকে রাখা হয়েছে প্রাথমিক ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ বিজয়ীর তালিকায়।

প্রথম পর্যায়ে এবার মোট ছয়টি সাব ক্যাটাগরিতে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে। ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে ছিল- নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়ন, ক্ষতিগ্রস্ত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, চরম দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন ও যুব উন্নয়ন।

দ্বিতীয় পর্যায়ে সাতটি সাব ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। নির্ধারিত ক্যাটাগরিগুলো হলো- মাদকবিরোধী সচেতনতা কার্যক্রম, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি কার্যক্রম, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত কার্যক্রম, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং সচেতনতা কার্যক্রম, সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগ এবং দুর্যোগ মোকাবিলা ও ঝুঁকি হ্রাস।

প্রায় তিন লাখ সদস্য, ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৩১৫টির বেশি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চলা ‘ইয়াং বাংলা’র লক্ষ্য- ‘ভিশন-২০২১’ এ দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তরুণ প্রজন্মকে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের নতুন ধারণা ও উদ্ভাবনকে বিশ্বে তুলে ধরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আজ দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই, করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েনি জয়

আপডেট টাইম : ১১:৩৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশ এগিয়ে যাবে। বিদেশি কারো সহায়তা নয়, নিজস্ব চেষ্টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই, করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েনি। বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) জয় বাংলা ইয়্যুথ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার বিতরণীর এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে জয় এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আমরা সমাধান করতে চাই। যারা সমাধান করতে চায়, আমরা তাদের সাথে আছি। এটা নেই, ওটা নেই বলে নালিশ শুনতে শুনতে কান ব্যথা হয়ে গেছে। যারা নেতৃত্ব দিতে চায়, আমরা তাদের সাথে আছি।

জয় আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে মার্চ থেকে আমি দেশে আসতে পারছি না। এখন আমরা ভার্চুয়ালি রাষ্ট্র পরিচালনা করছি।’

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, দেশের মানুষই নিশ্চিত করবে কে আগামী দিনের নেতৃত্বে থাকবে। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের জন্য সংগ্রাম করেছেন। আমাদের রাষ্ট্রের তিনটি মূলনীতি সবাইকে ধরে রাখতে হবে। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, নাস্তিক সবার অধিকার আছে।

দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ট্রাস্টি নসরুল হামিদ।

সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তরুণদের সংগঠন ইয়াং বাংলা ২০১৪ সালে আত্মপ্রকাশের পর মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্লোগান ‘জয় বাংলা’র নামে চালু করে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। দেশ গঠনে ও নিজ সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া তরুণদের কাজের স্বীকৃতি দিতে চালু করা হয় এই অ্যাওয়ার্ডের।

২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইয়াং বাংলা তরুণদের ১৩০ সংগঠনকে নিজ সমাজের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রদান করেছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। তাদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন থেকে তাদের কাজের জন্য অর্জন করেছে পুরস্কার।

এবারো জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে আবেদন করে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের ৬০০ সংগঠন। নারী ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন, দরিদ্রদের উন্নয়ন, মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখা, পরিবেশ সুরক্ষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনসহ আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই সংগঠনগুলো থেকে বাছাই করে ৫০ সংগঠনকে রাখা হয়েছে প্রাথমিক ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ বিজয়ীর তালিকায়।

প্রথম পর্যায়ে এবার মোট ছয়টি সাব ক্যাটাগরিতে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে। ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে ছিল- নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়ন, ক্ষতিগ্রস্ত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, চরম দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন ও যুব উন্নয়ন।

দ্বিতীয় পর্যায়ে সাতটি সাব ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। নির্ধারিত ক্যাটাগরিগুলো হলো- মাদকবিরোধী সচেতনতা কার্যক্রম, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি কার্যক্রম, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত কার্যক্রম, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং সচেতনতা কার্যক্রম, সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগ এবং দুর্যোগ মোকাবিলা ও ঝুঁকি হ্রাস।

প্রায় তিন লাখ সদস্য, ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৩১৫টির বেশি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চলা ‘ইয়াং বাংলা’র লক্ষ্য- ‘ভিশন-২০২১’ এ দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তরুণ প্রজন্মকে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের নতুন ধারণা ও উদ্ভাবনকে বিশ্বে তুলে ধরা।